بسم الله الرحمن الرحيم
সূরা মুমিনুন এর শুরুর দিকে আয়াত সমূহে, আল্লাহ তায়ালার এরশাদ করেছেন মুমিনগণ সফলকাম হয়েছে,
যারা নিজেদের নামাজে বিনয় নম্র, যারা অনর্থক কথাবার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান করে থাকে এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে
তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে
না; অতঃপর কেউ এদেরকে ব্যতীত অন্যকে কামনা করলে তারা
সীমালংঘনকারী বলে বিবেচিত হবে । ( সুরা মুমিনুন : ১-৭ )
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله
صلى الله عليه وسلم: الإيمان أكثر من سبعين شعبة، فأفضلها قول لا إله إلا الله.
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই
সালাম এরশাদ করেন ঈমানের সত্তুরটিরও বেশি শাখা প্রশাখা রয়েছে তন্মধ্যে সর্বাপেক্ষা
উত্তম শাখা হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা ।
( মুসলিম শরীফ হাদিস নং ৩৫ কানযুল উম্মাহ হাদিস নং ৫২ )
হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন
যখন মুমিন বান্দা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়ে তখন তার মুখ থেকে
দুটি সাদা ডানা বিশিষ্ট সবুজ পাখির মতো ( যার ডানাদায় মুক্তা ও ইয়াকুত পাথর খচিত
) একজন ফেরেশতা বের হয় । যার এক ডানা পুর্বে অপর ডানা পশ্তাত্যে । তিনি দানাদ্বয় দ্বারা
আরশের দূরগোরায় গিয়ে মধু পোকার মতো আওয়াজ দিতে থাকেন ।
আরশ বহনকারী ফেরেশতাগণ
বলেন, আল্লাহর ইজ্জত ও সম্মানের
কসম তুমি স্থির হও । তিনি বলেন, আমি স্থির হবো না
যে পর্যন্ত কালিমা পাঠকারীকে ক্ষমা না করা হবে ।
আল্লাহ তাআলা তাকে ৭০ হাজার মুখ দান করবেন, যে মুখসমূহ তার জন্য কেয়ামত অবধি মাগফিরাত কামনা করবে । কেয়ামতের
দিন ওই ফেরেশতা তার হাত ধরে পুলসিরাত পার করিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন । ( দুররাতুন
নাসিহীন : ৬৭ )